পরম করুণাময় ও মহাপরাক্রমশালী সৃষ্টিকর্তার সাথে তারই সৃষ্ট একজন মুসলিম
বান্দার সম্পর্ক কেমন হবে, তার ক্ষমা ও অনুগ্রহ পেতে হলে প্রতিটি মুমিনকে কী
কী বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির অধিকারী হতে হবে, দুনিয়ার শান্তি ও পরকালীন মুক্তি
নিশ্চিত করতে হলে বান্দাকে কোন পদ্ধতিতে ইবাদাত করতে হবে, এ বিষয়গুলো
এ পরিচ্ছেদে স্থান পেয়েছে। আল্লাহ ও বান্দার সম্পর্ক মূলত এগুলোর উপর ভিত্তি
করেই গড়ে ওঠে । কোনো মুসলিম বান্দাহ যদি একনিষ্ঠচিত্তে, ইখলাসের সাথে
যথাযথ হক আদায় করে এগুলোর প্রতি যতুবান হয়, তাহলে “বান্দার প্রতি
আল্লাহর যে হক’ সে হক আদায় করাঁ-তার পক্ষে সম্ভব হবে। মহান আল্লাহ
রাব্বুল আলামীনের কাছে সবার জন্য. তাওফীক কামনা করে শুরু করছি।
মুমিন হবে সদাজাগ্রত অন্তঃকরণের অধিকারী ও সচেতন
একজন মুসলিমের নিকট ইসলামের সর্বপ্রথম দাবি হলো, সে আল্লাহর উপর
অটুট বিশ্বাস রাখবে, তার সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে, তার স্মরণে নিয়োজিত
থাকবে, প্রয়োজনে একমাত্র তার উপর ভরসা করবে এবং যাবতীয় উপায়
অবলম্বন করে একমাত্র তার কাছে সাহায্য চাইবে । সাথে সাথে স্বীয় অন্তরের
অন্তস্তলে এ ধারণা বদ্ধমূল রাখবে যে, সে যত পরিশ্রমই করুক কিংবা যত
উপায়ই অবলম্বন করুক না কেন, সফলতা লাভের জন্য তাকে আল্লাহর সাহায্য,
সহযোগিতা ও শক্তির উপর নিয়তই নির্ভরশীল থাকতে হবে ।
Reviews
There are no reviews yet.