এক.
শেষ শরতের পড়ন্ত বিকেল। সূর্যের তাপ তেমন নেই। তবু ঘামে ভেজা আবুল হাশিমের শরীর। সকাল থেকেই ঘামছে, আবার শুকোচ্ছে গায়েই। রিক্শাওয়ালার শরীর ঘামবে-শুকোবে এ আর বিচিত্র কি! এ নিয়ে ভাবত না আবুল হাশিম, যদি না ক’দিন আগেই জ্বর থেকে উঠতো।
কদমতলার বাজারে এসে রিকশার ব্রেক কষে আবুল হাশিম। সোনা মিয়ার দোকানের সামনে রিক্শাটা দাঁড় করিয়ে ভেতরে ঢোকে। গামছা দিয়ে ঘামে ভেজা মুখটা মোছে। দোকানদার তার দিকে তাকিয়ে অবজ্ঞার সুরে বলে, কী ব্যাপার হাশিম! কয়দিন ধইরা দেখা নাই; বাকীর খাতায় কিছু জমা পড়বোনি?
– পড়বো চাচা, তয় আইজ না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শুকনো হাসি হাসে হাশিম।
– আইজ না কাইল করতে করতে তো মাস পার হয়া গেল। একটা টাকাও তো জমা দিবার পারলি না?
– অসুখ করেছিল তো! সাতদিন বিছানায় পড়ে ছিলাম জ্বরে। এই সাতদিনে সত্তুর দিনের পিছনে পড়ে গেছি। আইজ পয়লা বার হলাম রিকশা নিয়া। ঊনচল্লিশ ট্যাকা রোজগার। তাও দুুপুর বেলা দুই ট্যাকার পুরি খায়া ফেলাইছি।
– এত ঘ্যানর ঘ্যানর শুরু করলি ক্যান? আইজ কি সদাই লাগবো?
– জ্বে চাচা, দুই সের চাল আর এক সের আলু দেন।
দোকানদার সোনা মিয়া চাল-আলু মেপে দেয়। গামছায় বেঁধে দাম শোধ করে আবুল হাশিম।
দোকানের সামনে বাঁশের ফালা দিয়ে একটি মাচা পাতা। পাশের বাড়ির মতি মোড়ল সেখানে বসে পান চিবোচ্ছে। সাথে আরও ক’জন হাটুরে বসা। হাশিমকে দেখে মতি মিয়া পানের পিক ফেলে বলে, কিরে হাশিম না? বাড়ির খবর জানস কিছু?
– না, কি হয়েছে চাচা?
– বাড়ি যায়াই জানতে পারবি। বিদ্রƒপের সুর ঝরে পড়ে মতি মোড়লের মুখে।
– সকাল বেলা বার হইছি। এর মধ্যেই কি হইছে চাচা!
মতি মোড়ল অনর্থক হাসে পান খাওয়া ময়লাযুক্ত দাঁতগুলো বের করে। কত করে কইলাম বউ-ঝিদের সমিতি টমিতির দরকার নাই। শুনলি না তো তহন। এহন বোঝ মজাটা।
নোলক
প্রকাশক: বইঘরবিষয়: সমকালীন উপন্যাস
Title | নোলক |
Author | সমর ইসলাম |
Publisher | বইঘর |
ISBN | 9847016800016 |
Edition | 5th Print, 2017 |
Number of Pages | 80 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
৳ 120 ৳ 66
(45% ছাড়ে আপনার সাশ্রয় 54 টাকা)
Be the first to review “নোলক”
Related products
-22%
ছাড়
ছাড়
-3%
ছাড়
ছাড়
-25%
ছাড়
ছাড়
-50%
ছাড়
ছাড়
-20%
ছাড়
ছাড়
-25%
ছাড়
ছাড়
-32%
ছাড়
ছাড়
-10%
ছাড়
ছাড়
Reviews
There are no reviews yet.